রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লড়াই ছাড়া অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয় || আজফার হোসেন
ওই কথাটা আবারো ফিরে এলঃ আমরা বাস্তববাদী কেননা আমরা "অসম্ভব"-এর স্বপ্ন দেখি। জানি, তথাকথিত "বাস্তববাদীরা" বিপ্লব কথাটা নিয়ে হাসাহাসি করেন, টিটকারি দেন, যারা বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেন তাদের উজবুক বলেন। তাহলে "উজবুকের" পক্ষেই আমি।
কিন্তু, সত্যি, যারা বিপ্লবকে তাদের স্বপ্ন থেকেই মুছে ফেলেছেন, তারা তো তাদের মতো করেই থাকে্ন, তার বেশী কিছু না। কিন্তু এও বোধ করি সত্য যে, একটি নির্দিষ্ট ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের সঙ্গে বিপ্লবের মেলা পার্থক্য আছে, যদিও একটি ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন বিপ্লবে রূপান্তরিত হতে পারে--কে জানে? তবে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন সেই দাবী তোলে যা বিরাজমান ব্যবস্থায় মেটানো সম্ভব আর বিপ্লব সেই দাবি তোলে--সেই "অসম্ভব" দাবি--যা বিরাজমান ব্যবস্থায় মেটানো সম্ভব না বলেই তাকে সে ভেঙ্গে ফেলেই নতুন ব্যবস্থার দিকে এগুতে চায়।
সত্য, আন্দোলনের জন্য সুনির্দিষ্ট ইস্যু চাই, কিন্তু সেই ইস্যুগুলাকে কি এমন ভাবে তোলা বা সাজানো সম্ভব যাতে কান-টানলে-মাথা-আসার মতো পুরা ব্যবস্থাকেই সবসময়ই দৃষ্টিতে রেখে তাকে চ্যালেঞ্জ করা যায় এবং কমপক্ষে তাকে সংকটাপন্ন করে তোলা যায়। আর ওই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করা এবং বদলানোর আরেক অর্থ হচ্ছে আমাদের শাসক শ্রেণীর রাজনীতিকেই উচ্ছেদ করার লক্ষে লড়াই করা।
আসলে গোটা ব্যবস্থাটাই এমন যে, দেশের শাসক শ্রেণী, 'মূলধারা'র রাজনীতিক, বিত্তশালী ব্যাবসায়ী, প্রভাবশালী আমলা ও শক্তিশালী গণমাধ্যমগুলো এবং বাইরের মাল্টিন্যাশনালগুলোও একটা "orchestrated class alliance"-এর ভেতর দিয়ে কাজ করে থাকে নিজেদের স্বার্থেই, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের বিপক্ষেই।
মেয়েরা যে আরো ধর্ষিত হবেন, শ্রমিকরা যে আরো পুড়ে মরবে্ন, সাধারণ মানুষের দুর্দশা যে আরো বাড়বে, এবং দেশের নিরাপত্তা ও এমনকি সার্বভৌমত্ব যে আরো বিঘ্নিত হতে থাকবে, তাতে বিস্মিত হওয়ার কারণ নাই, কেননা আমাদের দেশে তিলে তিলে তিলোত্তমা করে গড়ে উঠেছে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি তা দেশকে সাধারণ মানুষের জাহান্নাম করার পক্ষে আগেও ছিল, এখনো আছে।
তাই সর্বসাধারণের বড় মাপের এবং লাগাতার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লড়াই ছাড়া অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। আর বসে থেকে হতাশ হয়ে পড়লে, কিংবা 'সিনিক' হয়ে পড়লে, ওই পরিবর্তনের বিরুদ্ধেই তো কাজ করা হয়।
কিন্তু, সত্যি, যারা বিপ্লবকে তাদের স্বপ্ন থেকেই মুছে ফেলেছেন, তারা তো তাদের মতো করেই থাকে্ন, তার বেশী কিছু না। কিন্তু এও বোধ করি সত্য যে, একটি নির্দিষ্ট ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের সঙ্গে বিপ্লবের মেলা পার্থক্য আছে, যদিও একটি ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন বিপ্লবে রূপান্তরিত হতে পারে--কে জানে? তবে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন সেই দাবী তোলে যা বিরাজমান ব্যবস্থায় মেটানো সম্ভব আর বিপ্লব সেই দাবি তোলে--সেই "অসম্ভব" দাবি--যা বিরাজমান ব্যবস্থায় মেটানো সম্ভব না বলেই তাকে সে ভেঙ্গে ফেলেই নতুন ব্যবস্থার দিকে এগুতে চায়।
সত্য, আন্দোলনের জন্য সুনির্দিষ্ট ইস্যু চাই, কিন্তু সেই ইস্যুগুলাকে কি এমন ভাবে তোলা বা সাজানো সম্ভব যাতে কান-টানলে-মাথা-আসার মতো পুরা ব্যবস্থাকেই সবসময়ই দৃষ্টিতে রেখে তাকে চ্যালেঞ্জ করা যায় এবং কমপক্ষে তাকে সংকটাপন্ন করে তোলা যায়। আর ওই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করা এবং বদলানোর আরেক অর্থ হচ্ছে আমাদের শাসক শ্রেণীর রাজনীতিকেই উচ্ছেদ করার লক্ষে লড়াই করা।
আসলে গোটা ব্যবস্থাটাই এমন যে, দেশের শাসক শ্রেণী, 'মূলধারা'র রাজনীতিক, বিত্তশালী ব্যাবসায়ী, প্রভাবশালী আমলা ও শক্তিশালী গণমাধ্যমগুলো এবং বাইরের মাল্টিন্যাশনালগুলোও একটা "orchestrated class alliance"-এর ভেতর দিয়ে কাজ করে থাকে নিজেদের স্বার্থেই, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের বিপক্ষেই।
মেয়েরা যে আরো ধর্ষিত হবেন, শ্রমিকরা যে আরো পুড়ে মরবে্ন, সাধারণ মানুষের দুর্দশা যে আরো বাড়বে, এবং দেশের নিরাপত্তা ও এমনকি সার্বভৌমত্ব যে আরো বিঘ্নিত হতে থাকবে, তাতে বিস্মিত হওয়ার কারণ নাই, কেননা আমাদের দেশে তিলে তিলে তিলোত্তমা করে গড়ে উঠেছে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি তা দেশকে সাধারণ মানুষের জাহান্নাম করার পক্ষে আগেও ছিল, এখনো আছে।
তাই সর্বসাধারণের বড় মাপের এবং লাগাতার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লড়াই ছাড়া অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। আর বসে থেকে হতাশ হয়ে পড়লে, কিংবা 'সিনিক' হয়ে পড়লে, ওই পরিবর্তনের বিরুদ্ধেই তো কাজ করা হয়।
0 comments:
Note: Only a member of this blog may post a comment.